নবী শব্দটির মূল ধাতু নাবায়ুন। নবী শব্দের অর্থ গায়েবের সংবাদদাতা। আল্লাহ নবীগনকে গায়েবি ইলম দিয়েই পাঠিয়েছেন। নবীগনের ৩ টি অপরিহার্য শর্ত হলঃ- ১, ইলমে গায়েব সম্পর্কে অবহিত থাকা। ২, ফেরেস্তা দর্শন। ৩, ইলমে হুজুরি বা ঐশী লব্ধ ইলম। যারা নবী (সাঃ) এর ইলমে গায়েবকে অস্বিকার করে তারা মূলত নবুয়্যতকেই অস্বিকার করে। কেননা ইলমে গায়েব নবুয়্যতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুরা নিসার ১১৩ আয়াতের তফসীর (জালালায়িন শরিফ) " হে হাবীব! আপনার প্রতিপালক (অতিতে) আপনাকে অজানা বিষয় নিজে শিক্খা দিয়েছেন" জালালুদ্দীন সুয়ূতি (রহঃ) ব্যখ্যায় বলেন ঃ- শরিয়াতের বিধান ও ইলমে গায়েব অতিতে শিক্খা দিয়েছেন। নিজে নিজে জানার নাম ইলমে গায়েব যাতী। এটা আল্লাহর জন্য খাস। আর আল্লাহ যাকে জানান বা দান করেন সেটাকে বলা হয় ইলমে গায়েব আতায়ী। এটা রাসূলে মকবুল (সাঃ) এর জন্য খাস। এবার বুখারী শরিফের নিচের হাদিসটি দেখুন ঃ- " একদা নবী (সাঃ) একটি স্থান অতিক্রম করছিলেন, তিঁনি পাশের ২ টি কবরের প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ করলেন- এই কবরবাসীদ্বয়ের আযাব হচ্ছে। তাদের আযাবের কারণ এমন দুটি কাজ যার থেকে বেচেঁ থাকা তেমন কঠিন ছিলনা। তাদের একজন চোগল্খুরি করতো, আর একজন উটের প্রস্রাব থেকে সতর্ক ছিলনা। অতঃপর একটি তাজা খেজুরের ডাল নিয়ে ২ ভাগ করে ২ জনের কবরে গেড়ে বললেন- যতখন ডাল ২ টি তাজা থাকবে তাদের কবরের আযাব হালকা হবে।"
"আপনি বলে দিন যে তোমাদেরকে যেই
ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা নিকটে নাকি এর জন্য
আমার প্রতিপালক কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থীর
করবেন . তা আমি জানি না"l "আল্লাহ তাআলা রসুলগনের
মধ্যে যাকে ইচ্ছা করেন তাকে মনোনীত করেন।
অতপর তাকে গায়ব সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন।" এমন আরো আয়াত আছে যাতে আল্লাহ তাঁর হাবীব (সাঃ) কে যে এলমে গায়েব দান করেছেন তার স্পষ্ট প্রমান পাওয়া যায়। আমরা উপরের ২ টি আয়াতই বিশ্বাস করি। কারণ, আল্লাহর জানা হল গায়েবে যাতী আর আল্লাহ তাঁর হাবীবকে জানিয়েছেন সেটা রাসূল (সাঃ) এর জন্য গায়েবে আতায়ী। যারা এলমে গায়েবে যাতী ও এলমে গায়েবে আতায়ীকে এক করে বলে রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন না তারা কি কোরানের কিছু আয়াত ও কিছু হাদিস অস্বিকার করছেনা? কোরানের বেশ কিছু আয়াতে এবং হাদিসে আল্লাহযে গায়েবের মালিক ও আল্লাহযে তাঁর হাবীব (সাঃ) কে এলমে গায়েব দান করেছেন তার স্পষ্ট প্রমান আছে।
--
"আপনি বলে দিন যে তোমাদেরকে যেই
ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা নিকটে নাকি এর জন্য
আমার প্রতিপালক কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থীর
করবেন . তা আমি জানি না"l "আল্লাহ তাআলা রসুলগনের
মধ্যে যাকে ইচ্ছা করেন তাকে মনোনীত করেন।
অতপর তাকে গায়ব সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন।" এমন আরো আয়াত আছে যাতে আল্লাহ তাঁর হাবীব (সাঃ) কে যে এলমে গায়েব দান করেছেন তার স্পষ্ট প্রমান পাওয়া যায়। আমরা উপরের ২ টি আয়াতই বিশ্বাস করি। কারণ, আল্লাহর জানা হল গায়েবে যাতী আর আল্লাহ তাঁর হাবীবকে জানিয়েছেন সেটা রাসূল (সাঃ) এর জন্য গায়েবে আতায়ী। যারা এলমে গায়েবে যাতী ও এলমে গায়েবে আতায়ীকে এক করে বলে রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন না তারা কি কোরানের কিছু আয়াত ও কিছু হাদিস অস্বিকার করছেনা? কোরানের বেশ কিছু আয়াতে এবং হাদিসে আল্লাহযে গায়েবের মালিক ও আল্লাহযে তাঁর হাবীব (সাঃ) কে এলমে গায়েব দান করেছেন তার স্পষ্ট প্রমান আছে।
--