মুসলমান হিসেবে আমরা রবিউল আউয়ালে আন্দোলিত হই। আল্লাহর প্রিয় বন্ধু হজরত রাসূলুল্লাহর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি আমাদের ব্যাকুল অন্তরের আকুল অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। আল্লাহতায়ালা হজরত রাসূলুল্লাহকে (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সর্বোত্তম আকৃতি-অবয়ব, চরিত্রসহ সর্বগুণে গুণান্বিত করে সৃষ্টির সেরা ও সর্বোৎকৃষ্ট মানব হিসেবে নির্বাচন করেছেন। প্রিয়নবীর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবনালেখ্য আলোচনা করা যেমন সওয়াবের কাজ, তেমনিভাবে তাঁর দৈহিক গঠন নিয়ে আলোচনা করাও পুণ্যময় কাজ। শুধু আলোচনার দ্বারা সওয়াব পাওয়া যায়। কারণ শত চেষ্টা করেও আমাদের অবয়ব-আকৃতিকে হজরত রাসূলের (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মতো করা সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে তাঁর জীবনাদর্শ বা জীবনালেখ্য নিয়ে আলোচনার দ্বারা সওয়াব পাওয়ার পাশাপাশি অনুরূপ চরিত্র গঠনের আশা করা যায়। যা দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি ও একজন মুমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত বিষয়।
যেহেতু আমরা হজরত মোহাম্মদের (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মত, তাঁর আদর্শে আমাদের জীবন গড়া অবশ্য কর্তব্য। সে হিসেবে হজরত রাসূলুল্লাহর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবনালেখ্য ও জীবনবৃত্তান্ত আমাদের জানা উচিত। আলোচ্য নিবন্ধে হজরত রাসূলুল্লাহর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবনবৃত্তান্ত সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করা হলো :
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার সুবহে সাদিকের সময় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগেই তিনি পিতৃহারা হন। হজরত রাসূলুল্লাহর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ৬ বছর, তখন নবীজির মাতা সায়্যিদা আমেনাও ইন্তেকাল করেন। ৮ বছর ২ মাস ১০ দিন বয়সে তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালেব ইন্তেকাল করেন। ১২ বছর ২ মাস বয়সে চাচা আবু তালেবের সঙ্গে ব্যবসায়িক কাজে শাম দেশ গমন করেন। ১৬ বছর বয়সে নৈরাজ্যকর আরবের সমাজ ব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুব সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। আনুমানিক ২৩-২৪ বছর বয়সে মক্কার অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হজরত খাদিজার ব্যবসার জন্য বাণিজ্য কাফেলার সঙ্গে শামে দ্বিতীয়বারের মতো সফর করেন। ২৫ বছর ২ মাস ১০ দিন বয়সে হজরত খাদিজার (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
নবুয়তপ্রাপ্তির ৭ বছর আগে অর্থাৎ ৩৩ বছর বয়সে মহানবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অদৃশ্য রহস্য জানা শুরু করেন। ৩৫ বছর বয়সে পবিত্র কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন বিষয়ে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসার দায়িত্ব লাভ করে তার সুষ্ঠু সমাধান করে আরববাসীকে পুনরায় বিবাদ থেকে রক্ষা করেন।
৪০ বছর ১১ দিন বয়সে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবুয়তপ্রাপ্ত হন এবং আসমানি কিতাব কোরআনে কারিমের সূরা আলাকের প্রথম কয়েকটি আয়াত নাজিল হয়। নবুয়তের দ্বিতীয় বছরে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবুয়তপ্রাপ্তির কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন। শুরু হয় পৌত্তলিক আরব সর্দারদের বিরোধিতা। নবুয়তের পঞ্চম ও ষষ্ঠবর্ষে তাদের বিরোধিতা চরম পর্যায়ে ওঠে, হজরত রাসূলুল্লাহকে (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবরোধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। নবুয়তের নবম বছরে অবরোধ প্রত্যাহার হয়। এরপরের বছর অভিভাবক ও চাচা আবু তালিব ও মমতাময়ী স্ত্রী হজরত খাদিজা (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) ইন্তেকাল করেন। এ বছরকে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘বিচ্ছেদ বা বিরহের বছর’ বলে অভিহিত করেছেন। নবুয়তের দশম বছরে দাওয়াতি মিশন নিয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তায়েফের পথে যাত্রা করেন এবং তায়েফবাসী কর্তৃক অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হন। ২৭ রজব নবুয়তের দশম বছরের সোমবার রাতে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মিরাজ গমন করেন। বহু ঘটনার পর মিরাজ রজনীতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার বিধান দেওয়া হয়।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৫৩ বছর বয়সে আল্লাহর হুকুমে প্রিয় বন্ধু হজরত আবু বকরকে (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) সঙ্গে নিয়ে জন্মভূমি মক্কা থেকে সওর গুহা হয়ে মদিনায় হিজরত করেন। ১ হিজরি সনে মদিনায় নিজ খরিদকৃত জায়গায় মসজিদে নববীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২ হিজরি সন থেকে আজানের প্রচলন শুরু হয় এবং এ বছরই জাকাত ফরজসহ মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামের দিকে কিবলা পরিবর্তনের হুকুম প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় হিজরি সনে রোজার বিধান, ঈদুল ফিতরের নামাজের বিধান জারি হয়। সংঘটিত হয় ইসলামের ইতিহাসের প্রথম ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ। এরপর তৃতীয় হিজরিতে সংঘটিত হয় ওহুদ যুদ্ধ। যে যুদ্ধে মহানবীর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁত মোবারক শহীদ হয়। দিনটি ছিল ৬ শাওয়াল ৩ হিজরি। পঞ্চম হিজরিতে খন্দক যুদ্ধ শেষে ষষ্ঠ হিজরিতে হুদাইবিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। পরে ৭ হিজরির মহররম মাসে খায়বরের যুদ্ধ ও মুতার যুদ্ধ শেষে ৮ হিজরিতে মক্কা বিজয় হয়।
মক্কা বিজয়ের পর ৮ হিজরির শাওয়াল মাসে হুনাইনের যুদ্ধ ও ৯ হিজরিতে তাবুক যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। ৯ হিজরিতে হজ ফরজ হওয়ার বিধান জারি হয় এবং সেবার হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হজ সম্পাদন করেন।
হিজরি ১১ সনে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসুস্থ হন। ওফাতের ৫ দিন পূর্বে বৃহস্পতিবার মসজিদে নববীতে জোহর নামাজ আদায়, জামাতে তাঁর শেষ নামাজ আদায়। এরপর ১২ রবিউল আউয়াল ১১ হিজরি সন সোমবার মাওলার সানি্নধ্যে চলে যান। ১৪ রবিউল আউয়ালে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিকার (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) কামরায় দাফন করা হয়। আর সেটাই হলো হায়াতুন্নবীর পবিত্র রওজা মোবারক। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
যেহেতু আমরা হজরত মোহাম্মদের (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মত, তাঁর আদর্শে আমাদের জীবন গড়া অবশ্য কর্তব্য। সে হিসেবে হজরত রাসূলুল্লাহর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবনালেখ্য ও জীবনবৃত্তান্ত আমাদের জানা উচিত। আলোচ্য নিবন্ধে হজরত রাসূলুল্লাহর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবনবৃত্তান্ত সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করা হলো :
আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার সুবহে সাদিকের সময় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগেই তিনি পিতৃহারা হন। হজরত রাসূলুল্লাহর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ৬ বছর, তখন নবীজির মাতা সায়্যিদা আমেনাও ইন্তেকাল করেন। ৮ বছর ২ মাস ১০ দিন বয়সে তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালেব ইন্তেকাল করেন। ১২ বছর ২ মাস বয়সে চাচা আবু তালেবের সঙ্গে ব্যবসায়িক কাজে শাম দেশ গমন করেন। ১৬ বছর বয়সে নৈরাজ্যকর আরবের সমাজ ব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুব সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। আনুমানিক ২৩-২৪ বছর বয়সে মক্কার অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হজরত খাদিজার ব্যবসার জন্য বাণিজ্য কাফেলার সঙ্গে শামে দ্বিতীয়বারের মতো সফর করেন। ২৫ বছর ২ মাস ১০ দিন বয়সে হজরত খাদিজার (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
নবুয়তপ্রাপ্তির ৭ বছর আগে অর্থাৎ ৩৩ বছর বয়সে মহানবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অদৃশ্য রহস্য জানা শুরু করেন। ৩৫ বছর বয়সে পবিত্র কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন বিষয়ে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসার দায়িত্ব লাভ করে তার সুষ্ঠু সমাধান করে আরববাসীকে পুনরায় বিবাদ থেকে রক্ষা করেন।
৪০ বছর ১১ দিন বয়সে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবুয়তপ্রাপ্ত হন এবং আসমানি কিতাব কোরআনে কারিমের সূরা আলাকের প্রথম কয়েকটি আয়াত নাজিল হয়। নবুয়তের দ্বিতীয় বছরে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবুয়তপ্রাপ্তির কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন। শুরু হয় পৌত্তলিক আরব সর্দারদের বিরোধিতা। নবুয়তের পঞ্চম ও ষষ্ঠবর্ষে তাদের বিরোধিতা চরম পর্যায়ে ওঠে, হজরত রাসূলুল্লাহকে (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবরোধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। নবুয়তের নবম বছরে অবরোধ প্রত্যাহার হয়। এরপরের বছর অভিভাবক ও চাচা আবু তালিব ও মমতাময়ী স্ত্রী হজরত খাদিজা (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) ইন্তেকাল করেন। এ বছরকে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘বিচ্ছেদ বা বিরহের বছর’ বলে অভিহিত করেছেন। নবুয়তের দশম বছরে দাওয়াতি মিশন নিয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তায়েফের পথে যাত্রা করেন এবং তায়েফবাসী কর্তৃক অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হন। ২৭ রজব নবুয়তের দশম বছরের সোমবার রাতে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মিরাজ গমন করেন। বহু ঘটনার পর মিরাজ রজনীতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার বিধান দেওয়া হয়।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৫৩ বছর বয়সে আল্লাহর হুকুমে প্রিয় বন্ধু হজরত আবু বকরকে (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) সঙ্গে নিয়ে জন্মভূমি মক্কা থেকে সওর গুহা হয়ে মদিনায় হিজরত করেন। ১ হিজরি সনে মদিনায় নিজ খরিদকৃত জায়গায় মসজিদে নববীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২ হিজরি সন থেকে আজানের প্রচলন শুরু হয় এবং এ বছরই জাকাত ফরজসহ মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামের দিকে কিবলা পরিবর্তনের হুকুম প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় হিজরি সনে রোজার বিধান, ঈদুল ফিতরের নামাজের বিধান জারি হয়। সংঘটিত হয় ইসলামের ইতিহাসের প্রথম ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ। এরপর তৃতীয় হিজরিতে সংঘটিত হয় ওহুদ যুদ্ধ। যে যুদ্ধে মহানবীর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁত মোবারক শহীদ হয়। দিনটি ছিল ৬ শাওয়াল ৩ হিজরি। পঞ্চম হিজরিতে খন্দক যুদ্ধ শেষে ষষ্ঠ হিজরিতে হুদাইবিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। পরে ৭ হিজরির মহররম মাসে খায়বরের যুদ্ধ ও মুতার যুদ্ধ শেষে ৮ হিজরিতে মক্কা বিজয় হয়।
মক্কা বিজয়ের পর ৮ হিজরির শাওয়াল মাসে হুনাইনের যুদ্ধ ও ৯ হিজরিতে তাবুক যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। ৯ হিজরিতে হজ ফরজ হওয়ার বিধান জারি হয় এবং সেবার হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হজ সম্পাদন করেন।
হিজরি ১১ সনে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসুস্থ হন। ওফাতের ৫ দিন পূর্বে বৃহস্পতিবার মসজিদে নববীতে জোহর নামাজ আদায়, জামাতে তাঁর শেষ নামাজ আদায়। এরপর ১২ রবিউল আউয়াল ১১ হিজরি সন সোমবার মাওলার সানি্নধ্যে চলে যান। ১৪ রবিউল আউয়ালে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিকার (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) কামরায় দাফন করা হয়। আর সেটাই হলো হায়াতুন্নবীর পবিত্র রওজা মোবারক। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।