এই গুরুত্ববহ ও মাহাত্মপূর্ণ বিষয়বস্তু “মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বপক্ষে বিস্তারিত দলিলাদি পেশ করার পূর্বে সর্ব প্রথম “মওলুদ” শব্দের অর্থের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এবং এতে যে অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে এ স¤র্কে কিছু আলোকপাতের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
“মওলুদ” শব্দের শাব্দিক অর্থ
“মওলুদ” এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- “জন্মস্থান বা জন্মগ্রহণের সময়।” আইম্মায়ে কেরামের পরিভাষায় “মওলুদ” বলা হয়-
– আরবী ইবারত –
অর্থাৎ – লোকের সমাগম হওয়া, কালামে পাক থেকে যতটুকু সম্ভব তিলাওয়াত করা, আম্বিয়ায়ে কেরাম অথবা আউলিয়া কেরামের মধ্য থেকে কারো পবিত্র জীবনী আলোচনা করা সাথে সাথে তাদের পবিত্র বাণী ও রেখে যাওয়া কর্মপন্থার গুরত্ব অনুধাবনের মাধ্যমে (উপস্থিত জনতার সামনে) তাঁদের গুণাগুণ গুরত্ব সহকারে বর্ণনা করা। (ইআ’নাতুত ত্বালিবীন, ৩য় খন্ড, ৩৬১পৃ.) মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে মাহফিলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর প্রিয় নবীগণ, তাঁর অলীগণ ও নেকবান্দাহগণের শানমান ও মর্যাদা তুলে ধরা, যাতে করে আল্লাহ্ তায়ালার পাক বাণীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করা যায়। যেমন, তিনি ফরমান-
ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
অর্থাৎ – কথা হচ্ছে এই যে, যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করে, তবে এটা হচ্ছে অন্তরগুলোর পরহেজগারীর লক্ষণ।-(সূরা হজ্ব, ৩২) নিঃসন্দেহে আম্বিয়ায়ে কেরামগণ উক্ত আয়াতের অন্তর্ভুক্ত, কেননা তাঁরা আল্লাহর উত্তম নিদর্শনাবলীর অন্যতম। যা অকাট্য দলিলাদি দ্বারা সাব্যস্ত বলেই সর্বজন স্বীকৃতরূপে পরিগণিত। উল্লেখ্য যে, এটা দ্বারা আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমন উপলক্ষে “মীলাদ” উদ্যাপনের নির্দেশ পাওয়া যায়। যেভাবে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শানমান ও মর্যাদার কথা কালামে পাকে ও হাদীস শরীফে বিস্তারিত বিদ্যমান।
মীলাদুন্নবী উদ্যাপনের উপকারিতা
হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ উদ্যাপনে অনেক উপকারিতা নিহিত। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে – প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত অলৌকিক ঘটনাবলী ও উত্তম চরিত্রের বিভিন্ন দিক স্থান পায় যার ফলশ্রুতিতে তাঁর গুণাগুণ বর্ণনার একটি সুন্দর পন্থা সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে সমবেত জনতাকে নিয়ে কোরআন তিলাওয়াতের, হাদীস শরীফ পাঠের, জীবনী আলোচনার ও গরীব-দুঃখীদের মাঝে তাবারুক বিতরণের সুযোগ ঘটে। মিলাদুন্নবী মাহফিলের উল্লেখযোগ্য উপকারিতার মধ্যে এটাও অন্যতম যে, এ উপলক্ষে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্মবৃত্তান্ত ও বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ঘটনাবলী স্মরণ করা হয়। যেমন- হাফেজ সুয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর উল্লেখযোগ্য “আল্ হা-উয়ী লিল ফাতাওয়া” নামক গ্রন্থের ২৫৬৮নম্বরে উল্লেখ করেছেন-
– আরবী ইবারত –
অর্থাৎ – মিলাদ মাহফিলের প্রকৃত আমল হচ্ছে এতে অসংখ্য লোকের সমাগম ঘটে, সাধ্যানুসারে কোরআনে পাকের তিলাওয়াত হয়, প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমনের ঘটনাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে অনেক হাদীস শরীফ ও নিদর্শনাবলীর স্মরণ হয়, মূলতঃ এটা বিদআতে হাসানাহ্। (১) যে ব্যক্তি এটা পালন করে থাকেন তাকে অধিক সাওয়াব প্রদান করা হয়, কেননা এটার মাধ্যমে হাবীবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মান মর্যাদা বর্ণিত হয় এবং এই ধরণীতে তাঁর আবির্ভাবের আনন্দ প্রকাশ করা হয়। ইমাম শিহাবুদ্দীন আবু শামা শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর রচিত “আল্ বা’য়িছ আলা ইনকারিল বিদঈ ওয়াল হাওয়াদিছ” নামক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের ২৩পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
– আরবী ইবারত –
অর্থাৎ – বর্তমান যুগের মঙ্গলজনক আমলের মধ্যে এটা এক উত্তম আমল যে, মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমন উপলক্ষে প্রতি বছর মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করতঃ কতগুলো মঙ্গজলনক আমলের ব্যবস্থা করা। যেমন- দান-খয়রাত, পূণ্য আমল, উত্তম ভূষণ ও আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করা, বিশেষতঃ দরিদ্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসার বহিঃপ্রকাশের অন্যতম নিদর্শন। আর এই উত্তম আমলকারীদের অন্তরে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রেম ও ভক্তির সঞ্চার হয়। এই সুবাদে মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে মনযোগ সৃষ্টি হয়, যে তাঁর প্রিয় বস্তুকে সৃষ্টি করে তিনি কত বড় দয়াশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, যাঁকে তিনি সমগ্র জগতের “রহমত” স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। উক্ত কিতাবটি আমি চারটি অনুচ্ছেদে বিভক্ত করেছি।
“মওলুদ” শব্দের শাব্দিক অর্থ
“মওলুদ” এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- “জন্মস্থান বা জন্মগ্রহণের সময়।” আইম্মায়ে কেরামের পরিভাষায় “মওলুদ” বলা হয়-
– আরবী ইবারত –
অর্থাৎ – লোকের সমাগম হওয়া, কালামে পাক থেকে যতটুকু সম্ভব তিলাওয়াত করা, আম্বিয়ায়ে কেরাম অথবা আউলিয়া কেরামের মধ্য থেকে কারো পবিত্র জীবনী আলোচনা করা সাথে সাথে তাদের পবিত্র বাণী ও রেখে যাওয়া কর্মপন্থার গুরত্ব অনুধাবনের মাধ্যমে (উপস্থিত জনতার সামনে) তাঁদের গুণাগুণ গুরত্ব সহকারে বর্ণনা করা। (ইআ’নাতুত ত্বালিবীন, ৩য় খন্ড, ৩৬১পৃ.) মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে মাহফিলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর প্রিয় নবীগণ, তাঁর অলীগণ ও নেকবান্দাহগণের শানমান ও মর্যাদা তুলে ধরা, যাতে করে আল্লাহ্ তায়ালার পাক বাণীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করা যায়। যেমন, তিনি ফরমান-
ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
অর্থাৎ – কথা হচ্ছে এই যে, যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করে, তবে এটা হচ্ছে অন্তরগুলোর পরহেজগারীর লক্ষণ।-(সূরা হজ্ব, ৩২) নিঃসন্দেহে আম্বিয়ায়ে কেরামগণ উক্ত আয়াতের অন্তর্ভুক্ত, কেননা তাঁরা আল্লাহর উত্তম নিদর্শনাবলীর অন্যতম। যা অকাট্য দলিলাদি দ্বারা সাব্যস্ত বলেই সর্বজন স্বীকৃতরূপে পরিগণিত। উল্লেখ্য যে, এটা দ্বারা আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমন উপলক্ষে “মীলাদ” উদ্যাপনের নির্দেশ পাওয়া যায়। যেভাবে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শানমান ও মর্যাদার কথা কালামে পাকে ও হাদীস শরীফে বিস্তারিত বিদ্যমান।
মীলাদুন্নবী উদ্যাপনের উপকারিতা
হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ উদ্যাপনে অনেক উপকারিতা নিহিত। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে – প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত অলৌকিক ঘটনাবলী ও উত্তম চরিত্রের বিভিন্ন দিক স্থান পায় যার ফলশ্রুতিতে তাঁর গুণাগুণ বর্ণনার একটি সুন্দর পন্থা সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে সমবেত জনতাকে নিয়ে কোরআন তিলাওয়াতের, হাদীস শরীফ পাঠের, জীবনী আলোচনার ও গরীব-দুঃখীদের মাঝে তাবারুক বিতরণের সুযোগ ঘটে। মিলাদুন্নবী মাহফিলের উল্লেখযোগ্য উপকারিতার মধ্যে এটাও অন্যতম যে, এ উপলক্ষে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্মবৃত্তান্ত ও বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ঘটনাবলী স্মরণ করা হয়। যেমন- হাফেজ সুয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর উল্লেখযোগ্য “আল্ হা-উয়ী লিল ফাতাওয়া” নামক গ্রন্থের ২৫৬৮নম্বরে উল্লেখ করেছেন-
– আরবী ইবারত –
অর্থাৎ – মিলাদ মাহফিলের প্রকৃত আমল হচ্ছে এতে অসংখ্য লোকের সমাগম ঘটে, সাধ্যানুসারে কোরআনে পাকের তিলাওয়াত হয়, প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমনের ঘটনাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে অনেক হাদীস শরীফ ও নিদর্শনাবলীর স্মরণ হয়, মূলতঃ এটা বিদআতে হাসানাহ্। (১) যে ব্যক্তি এটা পালন করে থাকেন তাকে অধিক সাওয়াব প্রদান করা হয়, কেননা এটার মাধ্যমে হাবীবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মান মর্যাদা বর্ণিত হয় এবং এই ধরণীতে তাঁর আবির্ভাবের আনন্দ প্রকাশ করা হয়। ইমাম শিহাবুদ্দীন আবু শামা শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর রচিত “আল্ বা’য়িছ আলা ইনকারিল বিদঈ ওয়াল হাওয়াদিছ” নামক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের ২৩পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
– আরবী ইবারত –
অর্থাৎ – বর্তমান যুগের মঙ্গলজনক আমলের মধ্যে এটা এক উত্তম আমল যে, মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমন উপলক্ষে প্রতি বছর মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করতঃ কতগুলো মঙ্গজলনক আমলের ব্যবস্থা করা। যেমন- দান-খয়রাত, পূণ্য আমল, উত্তম ভূষণ ও আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করা, বিশেষতঃ দরিদ্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসার বহিঃপ্রকাশের অন্যতম নিদর্শন। আর এই উত্তম আমলকারীদের অন্তরে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রেম ও ভক্তির সঞ্চার হয়। এই সুবাদে মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে মনযোগ সৃষ্টি হয়, যে তাঁর প্রিয় বস্তুকে সৃষ্টি করে তিনি কত বড় দয়াশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, যাঁকে তিনি সমগ্র জগতের “রহমত” স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। উক্ত কিতাবটি আমি চারটি অনুচ্ছেদে বিভক্ত করেছি।