শায়খ আব্দুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী লিখেন, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া কিতাবে ইব্ন ইসহাক, ইব্ন তারুবিয়া্, আবু ইয়াল, তিব্রানী, বায়হাকী, আবু নায়ীম প্রমুখ হযরত হালিমা থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, হযরত হালিমা বর্ননা করেনঃ যে বছর আমরা বনী সা’দ ইব্ন বকরের সাথে মক্কায় দুগ্ধপোষ্য শিশুর খোজে এলাম সেটি ছিল তীব্র খরাজনিত অভাবের বছর । আমার একটা গাধী ছিল, দূর্বলতার কারণে পা ফেলতে যার কষ্ট হতো । একটি উটনী ছিল । সেটা এত দূর্বল ছিল যে, একফোঁটা দুধও তাঁর স্তনের ছিল না । আমার সাথে নিজের একটা শিশু সন্তান এবং স্বামী ছিল । অভাবের তাড়নায় ও ক্ষুধার জালায় দিনেও আরাম ছিল না, রাতেও ঘুম হতো না ।
মক্কায় যখন আমাদের কোওমের মহিলারা পৌঁছল, তাদের সকলেই এক একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু খুঁজে নিলো । আমিই কেবল বাকি ছিলাম । ওদিকে শিশু মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে কেউ তখনও নেয়নি । তিনি ছিলেন এতিম । স্বামীকে বললাম, খালি হাতে চলে যেতে মন চাইছে না । এ এতিম শিশুকেই আমি নিয়ে যাব । আমি আব্দুল্লাহর বাড়ি গেলাম । সেখানে শিশু মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দেখলাম, দুধের চেয়ে সাদা, পরিচ্ছন্ন মোটা একটা কাপড়ে মুড়ে শুয়ে আছেন, তাঁর নিচে সবুজ রেশম বিছানো রয়েছে । মেশকের সুঘ্রাণ ভেসে আসছে । ... এ সময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন । তাকে আমি জাগাতে চাইলাম । তাঁর সৌন্দর্য দেখেই আমি গভীরভাবে আসক্ত হয়ে গেলাম । আমি তাঁর আরো কাছে গেলাম । আস্তে করে গভী মমতায় আমার একটা হাত তাঁর সিনা মোবারকে রাখলাম । দেখলাম, তাঁর চোখ মোবারক থেকে অপূর্ব এক জ্যোতি বের হয়ে আকাশের দিকে উত্থিত হলো । আমি তাঁর পবিত্র ললাট চুম্বন করলাম । এবং তাকে আমার কোলে নিলাম । তাকে নিয়ে আমি আমাদের অবস্থানে এলাম । আমার স্বামীকে দেখালাম । স্বামীও তাকে দেখতেই তাঁর প্রতি অনুরক্ত হয়ে গেলেন । আল্লাহ্র দরবারে সুক্রিয়ার সিজদা করলেন এ মহান দওলত লাভের জন্য ।
আমার স্বামী তাঁর উটনীর কাছে গেলেন । যে উটনীর স্তনের ইতিপূর্বে একফোঁটা দুধও ছিল না । দেখলেন তাঁর স্তন দুটি দুধে ভারী হয়ে আছে । তিনি মনের আনন্দে দুধ দোহন করলেন । এত দুধ হলো যে, আমরা মনপ্রান ভরে দুধপান করলাম । এতদিন ক্ষুধার জালায় আমরা ঘুমাতে পারতাম না । দীর্ঘদিন পর আজ আমরা পরম শান্তিতে নিদ্রা গেলাম । স্বামী আমাকে বললেন, হে হালিমা তুমি ধন্য । এসব বরকত এ মহাপবিত্র শিশুরই কল্যাণে, যাকে তুমি লাভ করেছ । আমার বিশ্বাস, এ সৌভাগ্য আমাদের জন্য চিরস্থায়ী হবে ।
হযরত হালিমা বর্ননা করেন, আমি যখন তাঁর পবিত্র মুখ ধোয়াতে ইচ্ছা করতাম বা তাঁর পবিত্র মুখ থেকে লেগেথাকা দুধ পরিষ্কার করতে চাইতাম তখন দেখতাম গায়েব থেকেই তা করে দেয়া হয়ে গেছে । যদি কখনও তাঁর লজ্জাস্থান থেকে কাপড় সরে যেত, তিনি অস্থির হয়ে ক্রন্দন শুরু করতেন । যদি উঠে গিয়ে তা ঢেকে দিতে আমার মুহুর্তও বিলম্ব হতো, দেখতাম অদৃশ্য কেউ তা তাড়াতাড়ি ঢেকে দিয়েছে ।... এর পর হালিমা শিশু মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর ফেরেশতাদের পাহারা ও মেঘের ছায়াদান সম্পর্কীয় দীর্ঘ বর্ননা দান করেন । (মাদারেজুন্নবুওয়ত)
মক্কায় যখন আমাদের কোওমের মহিলারা পৌঁছল, তাদের সকলেই এক একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু খুঁজে নিলো । আমিই কেবল বাকি ছিলাম । ওদিকে শিশু মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে কেউ তখনও নেয়নি । তিনি ছিলেন এতিম । স্বামীকে বললাম, খালি হাতে চলে যেতে মন চাইছে না । এ এতিম শিশুকেই আমি নিয়ে যাব । আমি আব্দুল্লাহর বাড়ি গেলাম । সেখানে শিশু মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দেখলাম, দুধের চেয়ে সাদা, পরিচ্ছন্ন মোটা একটা কাপড়ে মুড়ে শুয়ে আছেন, তাঁর নিচে সবুজ রেশম বিছানো রয়েছে । মেশকের সুঘ্রাণ ভেসে আসছে । ... এ সময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন । তাকে আমি জাগাতে চাইলাম । তাঁর সৌন্দর্য দেখেই আমি গভীরভাবে আসক্ত হয়ে গেলাম । আমি তাঁর আরো কাছে গেলাম । আস্তে করে গভী মমতায় আমার একটা হাত তাঁর সিনা মোবারকে রাখলাম । দেখলাম, তাঁর চোখ মোবারক থেকে অপূর্ব এক জ্যোতি বের হয়ে আকাশের দিকে উত্থিত হলো । আমি তাঁর পবিত্র ললাট চুম্বন করলাম । এবং তাকে আমার কোলে নিলাম । তাকে নিয়ে আমি আমাদের অবস্থানে এলাম । আমার স্বামীকে দেখালাম । স্বামীও তাকে দেখতেই তাঁর প্রতি অনুরক্ত হয়ে গেলেন । আল্লাহ্র দরবারে সুক্রিয়ার সিজদা করলেন এ মহান দওলত লাভের জন্য ।
আমার স্বামী তাঁর উটনীর কাছে গেলেন । যে উটনীর স্তনের ইতিপূর্বে একফোঁটা দুধও ছিল না । দেখলেন তাঁর স্তন দুটি দুধে ভারী হয়ে আছে । তিনি মনের আনন্দে দুধ দোহন করলেন । এত দুধ হলো যে, আমরা মনপ্রান ভরে দুধপান করলাম । এতদিন ক্ষুধার জালায় আমরা ঘুমাতে পারতাম না । দীর্ঘদিন পর আজ আমরা পরম শান্তিতে নিদ্রা গেলাম । স্বামী আমাকে বললেন, হে হালিমা তুমি ধন্য । এসব বরকত এ মহাপবিত্র শিশুরই কল্যাণে, যাকে তুমি লাভ করেছ । আমার বিশ্বাস, এ সৌভাগ্য আমাদের জন্য চিরস্থায়ী হবে ।
হযরত হালিমা বর্ননা করেন, আমি যখন তাঁর পবিত্র মুখ ধোয়াতে ইচ্ছা করতাম বা তাঁর পবিত্র মুখ থেকে লেগেথাকা দুধ পরিষ্কার করতে চাইতাম তখন দেখতাম গায়েব থেকেই তা করে দেয়া হয়ে গেছে । যদি কখনও তাঁর লজ্জাস্থান থেকে কাপড় সরে যেত, তিনি অস্থির হয়ে ক্রন্দন শুরু করতেন । যদি উঠে গিয়ে তা ঢেকে দিতে আমার মুহুর্তও বিলম্ব হতো, দেখতাম অদৃশ্য কেউ তা তাড়াতাড়ি ঢেকে দিয়েছে ।... এর পর হালিমা শিশু মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর ফেরেশতাদের পাহারা ও মেঘের ছায়াদান সম্পর্কীয় দীর্ঘ বর্ননা দান করেন । (মাদারেজুন্নবুওয়ত)